Supreme Court: জিবি মিটিং-এর পরই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা
Supreme Court: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই ধর্ষণ ও খুন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে ফের সিবিআই রিপোর্ট জমা দিতে পারে।
আরজি কর মামলার তৃতীয় দিনের শুনানিতে নতুন রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি। সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছ🥀ে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকার চিকিৎস💞কদের দাবি মেনে কী কী ব্যবস্থা নেবে, তা উল্লেখ করেছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।
LIVE NEWS & UPDATES
-
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বলতেই ধমক CJI-এর
আইনজীবী না থামায় প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ধমক দেন। বলেন, “শুনুন আমার কথা। আই অ্যাম সরি… আমার কথা আগে শুনুন, নাহলে আদালত থেকে বের করে দেব।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘আপনা🔯কে এখনি আদালত থেকে বার করে দেব’, মু💖খ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বলতেই ধমক CJI-এর
-
কবে কাজে ফিরবেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী নির্দেশ (কাজে ফেরার নির্দেশ) বহাল থাকছে, পরিবর্তন করা হচ্ছে না। তাঁর নির্দেশ কার্যকর করবেন কীভাবে, চিকিৎসকদের ওপর ছেড়ে দিতে হবেඣ।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘এখন নয়, গ্যারান্টি দিলেইꦡ কাজে ফিরব’, সুুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট সওয়াল জুনিয়র ডাক্তারদের
-
-
নিরাপত্তায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা ঠিক হবে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
- কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে। সিভিক ভলান্টিয়ার এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। আবার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে কাজ করানো কি ঠিক হবে? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
- প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই ধর্ষণ-কাণ্ডের নেপথ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। আবার যদি বাইরে থেকে নিরাপত্তারক্ষী আনা হয়, তারা সারা হাসপাতালে ঘুরে বেড়াবে। মহিলা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কি নিরাপদ বোধ করবেন?” এই নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করা হয়েছে কি না, এই প্রশ্নও তুলেছেন প্রধান বিচারপতি।
- প্রধান বিচারপতি: কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীরা কাজ করলে হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকরা আবার নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে পারেন। ১৮ থেকে ২৩ বছরের ছাত্রীরা পড়াশোনা করেন। তাঁরা সব থেকে বেশি ভালনারেবল। তাঁরা যাতে নিরাপদ বোধ করেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
-
তিলোত্তমার বাবার চিঠিতে বড় লিড, বললেন প্রধান বিচারপতি
- নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। এই চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।
- ১২ সেপ্টেম্বর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: তিলোত্তমার বাবা, মা যে চিঠি দিয়েছেন, সেই চিঠিতে যে সম্ভাবনা এবং যে ইনপুট দিয়েছেন, সেই গুলো সিবিআই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখবে। ঠিক একই ভাবে রেসিডেন্ট ডাক্তাররা চিঠি দিয়ে সিবিআই-কে তথ্য দিতে চান সেটা সিবিআই খতিয়ে দেখবে। সলিসিটর জানিয়েছেন, জানিয়েছেন তারা নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তদন্তের বিষয়ে জানাবেন।
-
কত মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে?
- ফিরোজ এডুলজি (আইনজীবী): এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৭ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: কলকাতা পুলিশকে কেন ফুটেজ দিতে বলা হচ্ছে না? আপনারা কি ব্লকার ডিভাইস ব্যবহার করেছেন? আমরা চাই সিবিআই পুরো DVR এবং ফুটেজ সিজ করুক।
- আইনজীবী এডুলজি: ঘরে ঢোকার মুখে কোনও সিসিটিভি ছিল না। ডেড বডির চালান ছিল না।
- কলকাতা হাইকোর্টে কী শুনানি হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সলিসিটর জেনারেলকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি।
- এসজি তুষার মেহতা: কলকাতা পুলিশ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ দেওয়ার সময় চালান দেয়নি।
- প্রধান বিচারপতি: কলকাতা পুলিশের সিবিআই এর সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।
- কপিল সিব্বল: ৭-৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই বলছে পাইনি। মাত্র ২৭ মিনিট পেয়েছি। যে স্কেচ ম্যাপের কথা বলা হচ্ছে, সেই স্কেচ ম্যাপ রয়েছে। DVR হ্যান্ড ওভার করা হয়েছে। বারবার এই ২৭ মিনিট সিসিটিভি ফুটেজে র কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। স্কেচ ম্যাপ এবং যে চালানের কথা হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: কখন সিসিটিভি, DVR হ্যান্ড ওভার করা হয়েছে?
- সিব্বল: ১৪ অগস্ট।
- প্রধান বিচারপতি: রিপোর্ট বলছে, মাত্র একটি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
- সিব্বল: সব তথ্য প্রমাণ ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: এটা কি আপনার স্টেটমেন্ট, যে আর কোনও তথ্য প্রমাণ দেওয়া বাকি নেই?
- সিব্বল: হ্যাঁ।
-
-
মুখবন্ধ খামে নামের তালিকা দিতে চান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং
ইন্দিরা জয়সিং (চিকিৎসকদের আইনজীবী): ক্রাইম সিনে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চাইলে আমরা নাম দিতে পারি। সিবিআইকে সিলড খামে দিতেꦗ পারি। আমরা তা ওপেন কোর্টে বলব না।
আইনজীবী: দুটো সিজার লিস্ট থাকা উচিত। বারবার ব𒊎লা হয়েছে জিন্স এবং আন্ডার গার্মেন্টস নেওয়া হয়নি। কখন এই স্ౠযাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে?
প্রধান বিচারপতি: সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টে যা জানিয়েছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আপনি যা জানাচ্ছেন, সেটাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আমর🧜াও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। স্টেটাস রিꦛপোর্টে আমাদের সব জানানো হয়েছে।
-
Wikipedia-তে এখনও নির্যাতিতার নাম ছবি, উঠল অভিযোগ
সলিসিটর জেনারেল: Wikipedia-তে এখনও নির্যাতিতার নাম ও ছবি রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: 🙈আমরা এই বিষয়ে নির্দেশ দেব। নাম ও ছবি থাকতে পারে না।
কাউন্সেল: আমরা Wikiꦐpedia-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, যে সেন্সর করা যাবে না।
সলিসিটর জেনারেল: এটা সেন্সর করার বিষয় নয়। অপ🐲রাধ না করার কথা বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি: আমরা বিষয়টি দেখছি।
-
CBI-এর স্টেটাস রিপোর্টে সন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি
- প্রধান বিচারপতি: নির্যাতিতার পরিবার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে তদন্তে কী উঠে আসছে, তা যদি আমরা প্রকাশ করি, তাহলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
- প্রধান বিচারপতি: আমরা স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। আমরা যা যা প্রশ্ন তুলেছি সব প্রশ্নের উত্তর সিবিআই-এর তরফে দেওয়া হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: প্রকৃত সত্য তুলে আনার জন্যই সিবিআই তদন্ত করছে। যে চালান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। পোস্টমর্টেমের প্রসেস নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সকলে জানেন। তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কি না, অন্য কোনও ব্যক্তি যুক্ত কি না প্রত্যেকটা বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে।
- প্রধান বিচারপতি: তদন্ত শেষ করার এখনও সময় আছে। সিবিআই ঘুমোচ্ছে না। আমরা সিবিআই-কে তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে চাই। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে। যদি পাবলিকে দাবি মেনে সাত দিনে তদন্ত শেষ করা হয় তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না।
-
লাইভ স্ট্রিমিং না করার আবেদন কপিল সিব্বলের
- রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল: এই মামলার সঙ্গে আবেগ জড়িত আছে। আপনারা যদি লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে অনেক রকম কমেন্ট (মন্তব্য) করা হচ্ছে। আমাদের রেপুটেশন (ভাবমূর্তি) প্রশ্নের মুখে পড়ছে। লাইফ স্ট্রিমিং হওয়া উচিত না, এই ধরনের সংবেদনশীল মামলায়। তাঁর দাবি, অ্যাসিড ছোড়া বা ধর্ষণের মতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে আইনজীবীদের।
- প্রধান বিচারপতি: বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবী, তারা যে পক্ষেই থাক, আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা অবশ্যই দেখব। এটি একটি জনস্বার্থ মামলা। এটা ওপেন কোর্ট।
- সিবিআই-এর দেওয়া স্টেটাস রিপোর্ট পড়ছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
-
ধর্ষণ-খুন মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়েছে
আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর গত শনিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে একই🥃 মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হতে পারে শীর্ষ আদালতে।
Published On - Sep 17,2024 10:26 AM