Kaltan Dashgupta: কলতানদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজত, নিয়ে যাওয়া হল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়
Kalatan Dashgupta: এদিন অভিযুক্তদের তরফে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমজিৎ রাহা, ফয়াজ আহমেদ খান। সরকারি আইনজীবী হিসাবে ছিলেন দেবাশিস রায়। আদালত কক্ষে অভিযুক্তদের আইনজীবী এদিন একেবারে শুরুতেই জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন।
কলকাতা: সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল সঞ্জীব দাস, কলতান দাশಌগুপ্তদের। শনিবার বিধাননগর আদালত এই নির্দেশ দেয়। এরপরই বামনেতা কলতান দাশগুপ্তকে পুলিশি হেফাজতে বিধাননগর আদালত থেকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বাম সমর্থকরা।
এদিন অভিযুক্তদের তরফে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমজিৎ রাহা, ফয়াজ আহমেদ খান। সরকারি আইনজীবী হিসাবে ছিলেন দেবাশিস রায়। আদালত কক্ষে অভিযুক্তদের আইনজীবী এদিন একেবারে শুরুতেই জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করার জন্য অভিযুক্তকে হেফাজত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হোক। ১৪ দিনের হেফাজ♉ত কেন চাওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন করেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এদিন বললেন, ‘প্রোটেস্টর যাঁরা, তাঁদের গ্যাংস্টার বানানো হচ্ছে। পুলিশ বলছে থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাহলে পালানোর হলে তো আগেই পালিয়ে যেত।’ সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় বলেন, ‘কে সাহেব কে দাদু, সেটা জানতে হবে। তাই পুলিশ হেফাজত চাই। এমনকী আরজি করে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে সেটাও দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
এই খবরটিও পড়ুন
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘এটা টিপ অফ দ্য আইসবার্গ। আরজি করে এত বড় ঘটনা ঘটল, এটা জানার পরও কি সরকার কোনও পদক্ষেপ করবে না? এদের ভয়েস স্যাম্পেলের আবেদন জানাচ্ছি। মোবাইল ফোন খোলার জন্য অনুমতি চাইছি। আগেই পাসওয়ার্ড জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অভিযুক্ত জানাননি। এখনও তিন জন বাকি আছে, তাদেরকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’ দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারক নিশান মজুমদার ধৃতদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।