ওয়াশিংটন: ভীনগ্রহীদে🌌র কি সত্য়িই অস্তিত্ব রয়েছে? তারা কি পৃথিবীতে কখনও এসেছে বা আসার চেষ্টা করেছে? এই ধꦦরনের নানা প্রশ্নই বহু দশক ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। নানা গবেষণাও হয়েছে। কিছু বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে ভীনগ্রহীরা সত্যিই রয়েছে, কেউ আবার অস্তিত্ব মানতে নারাজ। এরই মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে বিস্মিত বিজ্ঞানীরাও। পৃথিবীর চারপাশ থেকে ভেসে এসেছে এক অদ্ভুত সিগন্যাল। মৃদু কণ্ঠে কেউ গুনগুন করলে যেমন শব্দ ভেসে আছে, সেইরকমই শব্দ ভেসে এসেছে। তাও আবার কয়েক মুহূর্ত নয়, একটানা নয়দিন ধরে শব্দ এসেছে। আর্কটিক থেকে আন্টার্টিকা- পৃথিবীর চারিদিক থেকে এই শব্দ ভেসে এসেছে। কীসের শব্দ এটা?
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিসমিক অ্যাক্টিভিটি বা গতিবিধি মনিট🐈রিং সিস্টেমেই ধরা পড়েছিল রহস্যজনক সিগন্যাল। বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়ে যান, কারণ এই ধরনের সিগন্যাল তারাও কখনও আগে দেখেননি। আন-আইডেন্টিফায়েড সিসমিক অবজেক্ট বা ইউএসও হিসাবেই প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল ওই শব্🔯দকে। পরে রহস্যভেদ হয়।
জানা যায়, কো🌠নও ভিনগ্রহী বা ইউএফও নয়, এই গতিবিধি বা অদ্ভুত সিগন্যাল এসেছিল ভূমিকম্পের জেরে। টানা ৯ দিন ধরে কম্পন ধরা পড়েছিল সিসমিক মনিটরিং সিস্টেমে। সেই কম্পনের উৎস খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে গ্রিনল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চল, ডিকসন ফর্ডে ভূমিকম্প হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ডে ভূমিকম্পে বড় পাথর ও বরফ ভেঙে পড়ে, যার আয়তন ছিল অলিম্পিকের ১০ হাজার সুইমিং পুলের সমান। এর ফলে ভয়ঙ্কর সুনামির সৃষ্টি হয়, এক একটি ঢেউয়ের উচ্চতাই ২০০ মিটার সমান ছিল। যা লন্ডনের বিগ বে𝄹নের উচ্চতার দ্বিগুণ।
এই ভূমিকম্পের জেরেই মারাত্মক এক কম্পনের সৃষ্টি হয়, যা টানা ৯ 🐷দিন ধরে চলেছিল। এই শব্দই শোনা গিয়েছিল পৃথিবীর চারপাশে। যা বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভিনগ্রহীদের সিগন্যাল বলে ধরেছিল।
জানা গিয়েছে, বিশ্বায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে গ্লেসিয়ার বা হিমবাহের প্রাচীর পাতলা হয়ে গিয়েছিল। এই কারণেই ভূমিকম্পের মাত্রা এত বেশি ছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাথরে ভূমিকম্﷽প হয়েছে। এর জেরেই এমন ভূমিকম্প হয়েছিল।