ওয়াশিংটন: একবার মহাকাশ সফর করেছেন, তাও নাসার কাছ থেকে দ্বিতীয়বার মহাকাশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেয়ে ফেরাতে পারেননি সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কথা ছিল আটদিনের মহাকাশ সফরের। কিন্তু তা-ই এবার বেড়ে দাঁড়াল আট মাসে। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে মহাকাশেই আটকে রয়েছেন নাসার দুই মহাকাশচারী বুচ উইলমোর ও সুনীতা উইলিয়ামস। শনিবার নাসার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হল যে দুই মহাকাশচারীকে বাদ দিয়েই পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্টারলাইনার (Starliner) স্পেসক্রাফ𓆉্🦹ট। তবে সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোরের (Butch Wilmore) কী হবে?
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশ থেকে ফাঁকাই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বোয়িং 🦂স্টারলাইনার মহাকাশযানকে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীতে ফিরবেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ইলন মাস্কের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
চলতি বছরের জুন মাসেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যান সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। নাসার বোয়িং ক্রু ফ্লাইট টেস্টের অংশ হিসাবে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখান🧜ে গিয়ে ফেঁসে যান তাঁরা। যেখানে আটদিনে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা💟 ছিল তাদের, তা এখন আট মাস পর, ফেব্রুয়ারিতে ফিরবেন।
নাসা জানিয়েছে, বোয়িং সংস্থার যে মহাকাশযান স্টারলাইনার পাঠানো হয়েছে, তার প্রপালশনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। মহাকাশ যাত্রার সময়ই ২৮টি থাস্টারের মধ্যে ৫টি ফেইল করে এবং হিলিয়াম গ্যাস লিক করে যায়, যা মহাকাশযানের 𓆏ভারসাম্য বজায় রাখছিল। দুই মহাকাশচারীকে নিয়ে ফেরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কারণেই পৃথিবীতে ফাঁকা মহাকাশযানই ফিরিয়ে আনা হবে। মহাকাশযান ফিরলে নাসা ও বোয়িং সংস্থা স্টারꦉলাইনারের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখবে।
সুনীতা ও বুচ-দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া 🧜হয়েছে বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-কে। আগামী বছಌর ফেব্রুয়ারিতে স্পেস এক্স ড্রাগন ক্যাপসুল পাঠাবে, যাতে চেপে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে পাঠানো হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে। আপাত𝓰ত আগামী আট মাস সেই কাজই করবেন তাঁরা। গবেষণার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ ও সিস্টেম টেস্টিং করবেন।
দীর্ঘ সময় ধরেই সমস্যার মুখে রয়েছে বোয়িং সংস্থা। বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার বিমানের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংস্থার আশা-ভরসা ছিল এই স্টারলাইনার প্রোগ্রাম নিয়ে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে স্টারলাইনার মহাকাশযান তৈরি নিয়েও নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। বাজেট 💧ছাড়িয়ে ১.৬ বিলিয়ন বা ১৬০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়।