পুরুলিয়া: সরকারি জমি দখল নিয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভা ঘরে বৈঠক করছেন তখন দেখা গেল পুরুলিয়া শহরের একাধিক সরকারি জমি দখল করে চলছে শাসক দলের অফিস। অভিযোগ ঘির শোরগোল। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই একের পর এক তৈরি হয়েছে শাসক দলের অফিস। শহরের ১,৭,৯,১২,১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়েছে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস। শহরের ১২ন🌌ম্বর ওয়ার্ডে বুচাবাঁধ এলাকার রাস্তার পাশে সরকারি জম꧑ি দখল করে তৈরি হয়েছে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস। সেখানে লাগানো রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ওয়ার্ডেই পুরুলিয়া জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের আবাসন ডাকবাংলোর সামনেই রাস্তার ওপরেই সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় চলছে। এ ছাড়াও পুরুলিয়া শহরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের জেলাশাসকের অধীনে থাকা সরকারি জমি তথ্য সাংস্কৃতিক দফতরের পাশেই বেআইনি ভাবে দখল করে চলছে আইএনটিটিইউসির অনুমোদিত ম্যাক্সি ট্যাক্সি অফিস। পুরুলিয়া শহরের ১নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় সড়কের পাশেই সরকারি দফতরের গায়ে লাগোয়া নির্মাণ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস। পার্টি অফিসের গায়ে জ্বল জ্বল করছে ১নম্বর ওয়ার্ড বিষ্ণু সহিসের নাম। সেখানে মু♋খ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো হোর্ডিং রয়েছে। গত ১০বছরেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে এই পৌরসভা। সেই সময়কালেই 🌠নির্মাণ করা হয় দলীয় অফিস গুলি।
রাস্তার পাশেই এই ভাবে সরকারি জমি দখল করে শাসক দলের অফিস চাল🦩ানোর ফলে সরকারি জমি দখল করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আর এই দখলের পেছনে শাসক দলের কাউন্সিলরদের ভূমিকায় বেশি। যত্রতত্র ফাঁকা জমি দখল হয়ে গেছে। আর একꦗটার পর একটা সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, শাসক দলের সমর্থকদের এলাকার কাউন্সিলর পুলিশের থানা থেকে হাসপাতাল,কলেজ প্রতিষ্ঠান লাগোয়া ফাঁকা সরকারি জমি সব দখল হয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটপাত বলতে আর কিছু নেই। রাস্তা দখল করে চলছে বেআইনি ব্যাবসা।
পুরুলিয়ায় বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে অভিযোগ করে আসছি মুখ্যমন্ত্রী এখন এসে সেই অভিযোগের সার্টিফিকেট দিলেন। ওঁ একদিকে বলছেন সরকারি জমি দখল করা যাবে না। আর পুরুলিয়া শহরেই দেখা যাচ্ছে একাধিক সরকারি জমি দখল করে চলছে তৃণমূলের পার্টি ༺অফিস।”
প্রসঙ্গত, পৌরসভার কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই নবান্নে বৈঠকে মমতা বলেন, ” হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের অবস্থা খারাপ। ওয়েবেলের কাছে দেখলাম কত দোকান বসেছে, সবাই আউটসাইডার। নোংরা করে রেখে দিয়েছে। কেন নতুন একটা জোন করা হচ্ছে না? বেআইনিভাবে চারতলা-প✱াঁচ তলা তোলা হচ্ছে, কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দুএকজনকে গ্রেফতার করুন, দু-ജএকটা নির্মাণ ভাঙুন। আমার বাড়ি থেকে শুরু করুন। কেন বেআইনি কোনও জিনিস আমরা মানব।” সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূলেরই দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় অবশ্য পুরুলিয়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ময়ূরী নন্দী বলেন, “বিষয়টা আমাকে দেখ🎃তে হবে। পৌরসভার অনুমতি নিয়ে তো দলীয় অফিস তৈরি হয় না। কেউ যদি করে থাকে সরকারি জমি দখꦏল করে, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “