শ্রীরামপুর: কথায় কথায় পুলিশ ডাকেন প্রধান শিক্ষিকা! তাতেই ক্ষোভের আবহ গোটা স্কুলে। প্ল্য়াকার্ড হাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্কুলের সহ-শিক্ষিকারা। সামিল পড়ুয়ারাও। তপ্ত শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে ধকে চলল স্লোগান। বন্ধ পঠনপাঠন। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরার অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর তার কাজে লাগ♌াতার ভুল করেন। তাঁকে কিছু বলতে গেলে অশিক্ষক কর্মচারীরা এবং স্কুলের সহ শিক্ষিকাদের একাংশ তার বিরুদ্ধে কথা বলেন। ঝামেলার মধ্যেই এই ইস্যুতেই সোমবার স্কুলে একটি বৈঠকও বসে। অভিযোগ, স্কুলের এক ক্লার্ক তাঁকে সেই মিটিংয়ে হেনস্থা করেন। আর তখনই পুলিশ ডাকেন তিনি। তারই প্রতিবাদে এদিন ফেটে পড়ে গোট꧟া স্কুল।
প্রতিবাদে এদিন স্কুলে প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় স্কুলের 𓄧কর্মচারী থেকে শিক্ষিকারা। যোগ দেয় পড়ুয়ারা। বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্ক𒀰ুলে ছুটে আসেন অনেক অভিভাবকও। বিক্ষোভকারী শিক্ষিকাদের সঙ্গে তাঁদের আবার বচসাও শুরু হয়। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ-শিক্ষিকাদের দ্বন্দ্বের ফলে আসলে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের।
যদিও প্রধান শিক্ষিকা আবার স্কুলের নানা অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলছেন, স্কুলে নানারকম দুর্নীত🤡ি হয়। মিড ডে মিলের ক্ষেত্রেও নানা অন্যায় কাজ হয়। সেগুলি নিয়ে কথা বললেই তিনি অন্য♛দের কাছে খারাপ হয়ে যান। কিন্তু, তিনি চান স্কুলের সামগ্রিক পরিকাঠমো ঠিক থাকুক। পড়ুয়ারা ভাল করে পড়াশোনা করুক।
অন্যদিকে ক্ষোভে উগরে দিচ্ছেন স্কু♎লের সহ শিক্ষিকারা। সহ শিক্ষিকা নবনীতা দাস বলেন, কিছু হলেই তিনি স্কুলে পুলিশ ডাকেন। এই অবস্থার মধ্যে স্কুলে কোনওভাবেই পড়ানো যায় না। তাই এর একটা বিহিত চাই। অন্যদিকে যে ক্লার্কের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে সেই সুব্রত ♛মুখোপাধ্যায় বলেন, “যখন তখন শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষিকা। দুর্নীতির অভিযোগ যেটা করছেন তা ভিত্তিহীন। আমরা এই সামগ্রিক বিষয় নিয়েই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”