সোনালি সময়। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন অনেক সময়ই এসেছে। তবে সচিন-সৌরভ-সেওয়াগদের সময়কে যেন রূপকথা বলা যায়। অন্তত ‘নাইন্টিস কিড’দের কাছে তো অবশ্যই। শোয়েব আখতারের দীর্ঘ রান আপ, এক্সপ্রেস গতির ডেলিভারি। অন🔴্য দিকে, ব্রেট লি। আর তাঁদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের। ভাবলেই রোমাঞ্চ হয়। শুধু যে ক্রিকেট প্রেমীদেরই এমন পরিস্থিতি হয় তা নয়। প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও সে সব দিনের প্রসঙ্গ উঠলে ভাবনায় ডুবে যান। ভারতের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগই যেমন।
ওয়ান ডে ফরম্যাটে ভারত দু-বার বিশ্বকাপ জ💮িতেছে। ১৯৮৩-র পর ২০১১ সালে। যদিও এর মাঝে বিশ্বজয়ের খুব কাছে পৌঁছেছিল ভারতীয় দল। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। সেখানে স্বপ্নভঙ্গ হয়। তবে টুর্নামেন্টে বেশ কিছু স্মরণীয় ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ভারত-পাকিস্তান। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চে বরাবরই একতরফা লড়াই। ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এমনই ছিল। তবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ফেরা যাক ২০০৩ বিশꦜ্বকাপের ঘটনায়।
সেঞ্চুরিয়নে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণে ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার। ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে সচিন, সৌরভ, সেওয়াগ, দ্রাবিড়, যুবরাজ সিং। পাকিস্তানের স্পিডস্টারের হুঁশিয়ারি ছিল ভারতীয় ব্যাটিং আক🍷্রমণে বিপর্যয় আনবেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা খাটেনি। বীরেন্দ্র সেওয়াগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখনও মনে আছে, শোয়েব আখতার বলেছিল, ভারতের টপ অর্ডারই ওর টার্গেট। ওই ভারতী🐬য় টপ অর্ডারকে শেষ করে দেবে এমন একটা কথা বলেছিল। আমি যদিও সেটা পড়িনি। সেসময় এত টিভি কিংবা খবরের কাগজে নজর রাখতাম না। তবে ওকে যে সচিন তেন্ডুলকর কড়া জবাব দিয়েছিল, সেটা ভালোভাবেই মনে আছে।’
শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারের শেষ 💮তিন ডেলিভারিতে ৬,৪,৪! সব মিলিয়ে ১৮ রান তুলেছিলেন সচিন। মাস্টারব্লাস্টার সেই ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন। অল্পের জ🍎ন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। তবে মাত্র ৭৫ বলে ৯৮ রানে ইনিংস খেলেছিলেন। সেওয়াগ সেই ম্যাচে মাত্র ২১ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে ম্যাচের পরের দিকে সচিনের পায়ে টান ধরায় রানার হিসেবে নেমেছিলেন সেওয়াগ। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি রানার হিসেবে এসেছিলাম। অনেকক্ষণ থেকেই খেয়াল করছিলাম, আফ্রিদি কিছু না কিছু বলেই যাচ্ছে। সচিন তেন্ডুলকরের ফোকাস নষ্ট করতে পারেনি।’