কলকাতা: আগে ছিল ৬০। বেড়ে হল ৭৪। এ বার কি ৮৪? না এই হিসেব বয়সের নয়। আইপিএলের। চমকে যাবেন না। আইপিএলের বয়স যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে টিমের সংখ্যা। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে যাচ্ছে ভারতের গ্রীষ্মকালীন উৎসবের জৌলুস, আকর্যণ। ৮ টিম থেকে ১০ টিমে বছর কয়েক আগেই পৌঁছেছে আইপিএল (IPL)। সেই সময় থেকেই ম্যাচ বাড়িয়ে দেওয়া 🦄হয়েছে। আগামী আইপিএলের আগে মেগা নিলাম নিয়ে যেমন আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তেমনই চলছে ম্যাচ সংখ্যা নিয়ে। গত বারের থেকে আগামী আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা ১০টা বেড়ে যেতে পারে। তেমনই ভাবনা চিন্তা চলছে বিসিসিআইয়ের।
সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে বোর্ডের সচিব জয় শাহ🌜 বলেছেন, ‘এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। মোটামুটি ভাবে আমরা একমত হয়েছি। তবে এর সঙ্গে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেগুলো নিয়েও আলোচনা করতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তির 🔯মধ্য়েই ব্যাপারটা রয়েছে। তবে বোর্ডই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুটো বাধার মুখে পড়তে হতে পারে বোর্ডকে। প্লেয়ারদের ক্লান্তি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা। ম্য়াচ সংখ্যা ꦇ১০ বেড়ে যাওয়া মানে, সব টিমকেই হয়তো আরও একটি করে ম্যাচ বেশি খেলতে হবে। অথবা ফর্ম্যাট তৈরি হবে অন্য ভাবে। তাতে কিছু টিমের ম্যাচ সংখ্যা বেশি হতে পারে। তাতে ক্লান্তি এবং চোট আঘাত সমস্যা হতে পারে প্লেয়ারদের। এতেই শেষ নয়, আইপিএল খেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলতে হয় ক্রিকেটারদের। আইপিএলের বহর বাড়া মানে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফোকাস করতে একটু হলেও সমস্যা হবে। এতেই শেষ নয়, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
আইপিএলের ম্যা🅠চ সংখ্যা বাড়ার পর থেকেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন কোনও কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁরা বোর্ডের ব্যবসায়িক মনোভাবকে একেবারেই মানতে পারছেন না। আগামী বছর আইপিএলে আবার যদি ম্যাচ সংখ্যা বাড়ে, তা হলে ꦕআর এক দফা প্রতিবাদের মুখে পড়তে হতে পারে বিসিসিআইকে।