কলকাতা: দেশের মাটিতে ভারতকে টেস্টে হারানো কঠিন। এমন কথা ভারত-বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বলেছিলেন। তার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া যাচ্ছে। চেন্নাই টেস্টের শুরু থেকেই টিম ইন্ডিয়ার দাপট দেখা যাচ্ছে। দুই পড়শি দেশের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন টিম ইন্ডিয়ার দ🐭ুই🌜 তরুণ তুর্কি ব্যাটিং মেগা শো দেখালেন। দুরন্ত শতরান ঋষভ পন্থ ও শুভমন গিলের। সব কিছুর মধ্যেও লাইমলাইটে অবশ্য ভারতীয় ফিল্ডারদের নেওয়া তিনটে ক্যাচ। তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট আগে শেষ হয়েছে। খারাপ আলোর কারণে খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়নি। দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৮। এখনও জয়ের জন্য টাইগার্সদের চাই ৩৫৭ রান। হাতে সময় ২টো দিন। আর উইকেট ৬টা।
রবি-সকালে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য কী অপেক্ষা করছে? তা জানতে দেরি রয়েছে। কিন্তু জসপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ, মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাডেজারা যে শান্তদের ছেড়ে কথা বলবেন না, 🔯তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপাতত তার আগে এক🔯টু তৃতীয় দিনের তিন দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রথমেই বলতে হয় যশস্বী জয়সওয়াল যে ক্যাচ নিয়েছেন। ওপেনার জাকির হাসানকে ৩৩ রানে ফেরান বুমরা। স্লিপে যশস্বীর ক্যাচ। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে গালিতে ক্যাচ। তা বোলারের উইকেট বলার চেয়ে ফিল্ডারের বেশি বলা যায়। এর পর বলতে বলতে হয় শুভমন গিলের ক্যাচটি নিয়ে। বাংলাদেশের আর এক ওপেনার, শাদমান ইসলামের উইকেট নেন অশ্বিন। আর শুভমন গিল ফরোয়ার্ড ড্রাইভ দিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্ღযাচ তালুবন্দি করেন। শাদমান ফেরেন ৩৫ রান করে। আর তৃতীয়ত যে ক্যাচ নিয়ে বলতেই হয়, তা হল লোকেশ রাহুলের। তিনি শর্ট মিড অফে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ নেন। বল যেখানে নীচু হচ্ছে সেখানে সামনের দিকে ঝুঁকে ক্যাচ নেওয়া কঠিন।
চিপকে তৃতীয় দিন পিচ থেকে বোলাররা খুব বেশি সুবিধে পাচ্ছিলেন না। সাড🍸়ে তিনটে অবধি টার্নও ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভালো শুরু করেছিলেন। ওপেনিংয়ে জাকির ও শাদমান ৬২ রান তোলেন। ভারতকে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে রাখতে পারতেন ওপেনাররা। কিন্෴তু শুভমন, যশস্বী ও রাহুলের নেওয়া ৩টে ক্যাচ খেলার গতিই বদলে দেয়। এ বার দেখার চিপক টেস্ট চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই শেষ হয় নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা লড়াই চালিয়ে যান।