কলকাতা: প্রায় ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন। কিন্তু কখনও এই দম্পতিকে নিয়ে শোনা যায়নি কোনও অপ্রীতিকর খবর। শোনাও যাবে না। সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) আর অঞ্জলির প্রেম থেকে বিয়ের রসায়ন নিয়ে অবশ্য আগ্রহ কম নেই ক্রিকেট দুনিয়ায়। এত দিন পর জানা গেল অবꦓাক করা ঘটনা। অঞ্জলির সঙ্গে ছেলেবেলাতেই প্রথম দেখা হয়েছিল সচিনের। তাঁর ২৪ বছরের কেরিয়ারে অঞ্জলির ভূমিকাও থেকেছে বরাবর। কিন্তু এই দম্পতিকে নিয়ে অজানা একগুচ্ছ গল্প তুলে ধরলেন খোদ সচিনের শাশুড়ি এনাবেল মেহতা।
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই ‘মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’। সেখানেই জানা গিয়েছে মেয়ের স্বামী হিসেবে সচিনকে নিয়ে একটু হলেও কুন্ঠা ছিল অঞ্জলির মায়েরꦯ। তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘ওই সময় ভারতীয় ক্রিকেটে সচিন ছিল সবচেয়ে বড় তারকা। তখন নামী ক্রিকেটার মানেই প্লে-বয় টাইপ একটা ব্যাপার হওয়ার সম্ভাবনা। সচিনকে নিয়েও আমার সেই আশঙ্কা ছিল। কারণ নয়ের দশকে সচিন ছিল ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যামের মতো। আমি ওর চোখে চোখ রেখে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম, আমার মেয়েকে ও কত🍸টা ভালোবাসে।’
আটের দশকের শেষ থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে উল্কাগতি উত্থান হয়েছিল সচিনের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকের পরই তারকা বনে গিয়েছিলেন ১৬ বছরের ছেলে। সেই সচিন মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অঞ্জলিকে। সে কথা তিনি দেখা করে বলেছিলেন। এনাবেল লিখেছেন, ‘ও একদিন এসে বলল, আমরা বিয়ে করতে চাই। আমি চমকে গিয়েছিলাম। আমি বরাবর চে꧅য়েছি, অঞ্জলি লম্বা, হ্যান্ডসাম কাউকে বিয়ে করুক। কিন্তু ১৯ বছর বয়সে ও তো একেবারে বাচ্চা ছেলে।⛎ আর খুব ছোটখাট্টো একটা ছেলে। অঞ্জলির মাথায় মাথায়। সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো উচ্চতা। ওর কোঁকড়া চুলের জন্য একটু লম্বা লাগত। কিন্তু অঞ্জলি যে হাইহিল জুতো পরবে, তার জন্য যথেষ্ট হাইট ছিল না সচিনের। ও আমার মেয়ে কিন্তু হাইহিল পরতেই ভালোবাসত।’
উচ্চতা সচিন বাড়াতে পারেননি। কিন্তু শাশু꧂ড়ির আশঙ্কা কোনও দিন সত্যি হয়নি। প্লে-বয় ইমেজ কখন🐷ওই ছিল না মাস্টারব্লাস্টারের। বরং সচিন বরাবরই ঘরকুনো। খেলা বা সফর না থাকলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানুষ। এনাবেল যে জামাইকে নিয়ে কখনও অসন্তুষ্ট হননি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।