বছরের শেষ মাসের শেষ কটা দিন সকলেই ছুটির মেজাজে। সারা বছর চুটিয়ে কাজ করার পর বছরের শেষ এই কয়েকটা দিন তো ফলের আশা করাই যায়। রোজ একঘেঁয়ে রুটিন, কাজ সেরে বাড়ি ফেরা এমন চ🐻লতে থাকলে কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে যায়। মন মেজাজও ঠিক থাকে না। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই ভ্রমণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাইরে বেড়াতে গেলে যেমন মন ভাল থাকে তেমনই সেই বেড়াতে যাওয়ার টাকা জমানোরও একটা তাগিদ থাকে। তাগিদ থাকলে তখনই না কাজ করার উৎসাহ জাগে। কোভিডের পর থেকেই মানুষের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার উৎসাহ বেড়েছে। একদিনের ছুটি থাকলেও সকলে দলবেঁধে বেরিয়ে পড়েন। একে ডিসেম্বর, তার উপর বড়দিন। সঙ্গে উপরি পাওনা লং উইকএন্ড। আর তাই সকলেই ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে পড়েছেন।
ট্রেনে-বাসে টিকিটের হাহাকার। কোনও রকমে একটা টিকিট পেলে তাতেও রাজি। হোটেলের দাম চ൩ড়া। প্রায় দ্বিগুণ দামে সেই হোটেলই সকলে বুক করছেন। যাঁরা কোথাও যাওয়ার টিকিট পাননি তাঁরা খোঁজ করছেন কাছাকাছি কোথায় ঘুরে আসা যায়। আজকাল ক্যালেন্ডার আসলে প্রথমেই সকলে ছুটির তালিকা দেখে নেন। সেই মত চলতে থাকে ♐প্ল্যানিং। টিকিট কাটা যখন হয়ে যায় তখন সকলে পোশাক বাছতে শুরু করেন। কোথাও বেড়াতে গেলে ছবি তোলা হবে না তা তো আর হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলেই এখন ফ্যাশন সচেতন। কোন সময় কোথায় বেড়াতে গেলে কেমন পোশাক পরতে হবে তা সবই এখন মানুষের নখদর্পণে। আর তাই ট্রাভেল ব্যাগেও সেই মত পোশাক থাকে।
শীতে সর্বত্র ঠান্ডা থাকবে এটাই দস্তুর। তার উপর যখন বড়দিন তখন ঠান্ডা তো থাকতেই হবে। নইলে আর ঘুরে বেড়ানোর মজা কোথায়। শীতে যেখানেই যান না কেন শীতের পোশাক অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। বাহারি জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি পরার এটাই তো সময়। এখন অনেক রকম কাটিং এর সোয়েটার, সোয়েটার ক্রপ টপ, জ্যাকেট এসব পাওয়া যায়। আর এই সোয়েটারে দেখতেও খুব ভাল লাꦦগে। স্কার্টের পরিবর্তে জিন্স-টপ পরুন। সঙ্গে তো জ্যাকেট থাকছেই আর পায়ে অবশ্যই বুট পরুন। এতে হেঁটে যেমন আরাম পাবেন তেমনই পা ভাল থাকবে। তাই সাত-পাঁচ না ভেবে এখনই ব্যাগ প্যাক করতে বসুন। সেজেগুজে সুন্দর করে ঘুরে আসুন।