কলকাতা: বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। ফের সমাজমাধ্যমে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের। ব্যঙ্গ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কার্টুন। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, দলের চাপে কিছুটা পিছু হটলেও আবার এই পোস্টে বিতর্কে ইন্ধন জোগালেন সুখেন্দু। লালবাজারের ডাক পেয়ে আদালতে বলেছেন বিভ্রান্ত হয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ফেলেছেন! 🌳তিলোত্তমা কাণ্ডে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযযোগে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সুখেন্দু সমাজমাধ্যমেই শেয়ার করলেন ভারত-চিন যুদ্ধের 🎃সময়কার এক কার্টুন।
১৯৬২ সালে ২৬ ডিসেম্বর সামনে এসেছিল আর কে লক্ষ্মণের সেই কার্টুন। দেখা যাচ্ছে ছবিতে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এক ജপুলিশ। ছবির নিচে লেখা, ‘Of Course you weren’t spreading rumours- the charge is you were spreading facts!’ সঙ্গে একটি লাফিং ইমোজিও শেয়ার করেন। এই পোস্ট নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। প্রসঙ্গত, আগেই সুখেন্দু শেখরকে দু’বার ডেকে পাঠায় লালবাজার। গ্রেফতারির আশঙ্ক♚ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে তার করা আগের পোস্ট মুছে ফেলেছিলেন সুখেন্দু। এবার ফের নতুন পোস্ট!
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “এই পোস্ট খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। যা আমাদের রাজ্🎃যে চলছে তার সঙ্গে খুবই মিলছে। সত্য কথা বললে আপনি অপরাধী। কেন আপনি সত্য বলবেন? কেন স্পষ্ট কথা বলছেন? কেন যা চলছে তা মেনে নেবেন না? আপনি পারবেন না। আর যদি করেন তাহলে গ্রেফতার হবেন। এটাই তো বাস্তবে চলছে। অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। যারা প🔯্রতিবাদ করছে তাঁদের ধরে ধরে হেনস্থা করা হয়েছে। সুখেন্দু শেখরকেও হেনস্থা করতে হয়েছে। তাঁকে পোস্ট ডিলিট পর্যন্ত করতে হয়েছে।”
😆
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar)
তোপ দেগেছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা⛎ জগন্নাথ সরকার আবার খোঁচা দিয়ে বলেন, “হঠাৎ তার মেরুদণ্ড সোজা হয়ে যাচ্ছে। তিনি পোস্ট করছেন। আবার তিনি ডিলিটও করে ফেলছেন। তারপর আবার অন্য কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করছেন। এখন তো সরাসরি রাস্তায় নামার সময়। কেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ ধরে রেখে নিজের মেরুদণ্ড বেঁকিয়ে রেখেছেন? চলে আসুন বিজেপির ধরনা মঞ্চে যদি সত্যিই প্রতিবাদ জানাতে চান।”