কলকাতা: তিলোত্তমার ওপর নৃশংসতায় প্রথম থেকেই একটি বিষয় নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছিল। জোরাল সওয়াল উঠছিল, তিলোত্তমার বাবা-মা থেকে 🌟শুরু করে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের তরফেও। যেভাবে তিলোত্তমাকে অত্যাচার করা হয়েছে, তা কারোর একারౠ পক্ষে নয় করা সম্ভব নয়, এ সওয়াল প্রথম থেকে একাধিক মহলে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র কি একাই নাকি, এর পিছনে আরও অনেকে জড়িত? সেই রহস্য এখনও জিইয়ে রয়েছে। এবার তিলোত্তমার-তদন্তে নাটকীয় মোড়। এবার সল্টলেকের এক হোটেলের কর্মীকে তলব করল সিবিআই। চাওয়া হয়েছে ওই হোটেলের রেজিস্ট্রার ও সিসিটিভি ফুটেজ।
কিন্তু কেন সল্টলেকের হোটেলের কর্মীকে ডাকা হল? জানা যাচ্ছে, সল্টলেকের ওই হোটেলের কোনও এক বিশেষ ‘গেস্ট’ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, আশিস পাণ্ডে ন༺ামে এক হাউজস্টাফ ও আরজি করের টিএমসিপি 🦩ইউনিটের সভাপতির সম্পর্কে বিশেষ খোঁজ খবর নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ওই হোটেলে ৯ অগস্ট উঠেছিলেন আশিস কুমার পাণ্ডে। ১০ তারিখ তিনি ওই হোটেল ছেড়ে দেন।
৯ তারিখ সকালে আরজিকরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে প﷽েরেছেন। আশিস পাণ্ডের গতিবিধি জানতেই হোটেলের কর্মীকে তলব করেছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার থেকেই দেখা যাচ্ছিল, তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের কল রেকর্ডস নিয়ে তৎপর সিবিআই। আদালতেও উঠেছিল কল রেকর্ডস প্রসঙ্গ। সেদিন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সুদীপ্ত রায়। এর আগে এই কল রেকর্ডসের সূত্র ধরেই মেডিক্যাল কলেজের MSVP-কে তলব করা হয়েছিল। ক্যালকাটা হার💙্ট রিসার্চ ক্লিনিকেরও এক চিকিৎসককে তলব করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, কল ডিটেইলসে আশিস পাণ্ডের ﷽নাম প্রকাশ্যে আসার পর সুদীপ্ত রায় স্বীকার করেন, ঘটনার পর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি হিসাবে আশিসকে সেদিন যেতে বলেছিলেন।
আশিস পাণ্ডেকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তিনি যে ঘটনাক্রম বলেছিলেন, তার সঙ্গে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হোটেল কর্তৃপক🔯্ষের বক্তব্য শুনবে সিবিআই। তাই ওই কর্মীকে তলব করা হয়েছে।