কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ঘটনার পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। বিচারের দাবিতে দিনে-রাতে স্লোগান উঠছে রাজপথে। সেই আবহেই ধর্ষণ-বিরোধী নতুন বিল পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়। বিল নিয়ে আলোচনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন উন্নাও বা হাথরাসের ঘটনার কথা উল্লেখ করলেন, তেমনই কামদুনি-খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কামদুনির ঘটনা নিয়ে প্ꦦরশ্ন উঠলে, শুভেন্দুকে জবাবও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে এদিন সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গেই তুলে আনেন কামদুনির ধর্ষণ-কাণ্ডের কথা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কামদুনি মামলায় রাজ্য সরকার একের পর এক আইনজীবী বদল করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ১৪ জন আইনজীবী মামলা লড়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একে একে নামগুলো পড়ে যান। তাঁকে থামিয়ে🍎 দিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্🦹যোপাধ্যায় বলেন, “নামগুলো বলবেন না। শুধু আইনজীবী বদল হওয়ার কথা বলতে পারেন।”
এরপর বিল নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর অভিযোগের জবাব দেন। আইজীবী বদল নিয়ে অবশ্য সরাসরি কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি। মমতা জানান, চাকরির মেয়াদ সহ অনেক কারণ থাকতে পারে আইনজীবী বদল হওয়ার ক্ষেত্রে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তারিখ উল্লেখ করে বলে দেন, কামদুনির ঘটনা কবে ঘটেছিল, আর রাজ্য কত দ্রুত তদন্ত করেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ৭ জুন ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে সিআইডি চার্জশিট জমা দিয়েছিল। ১০ জুলাই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত রায় দেয় ২০১৬-র ২০ জানুয়ারি। এরপরই বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “কোর্টটা তো আমাদের হাতে নেই। কোর্টটাতো আপনাদের হাতে আছে। ওটা একটু দেখে নেবেন।”
এদিন কিছু পেপারকাটিং দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। সেই সব দাবি খারিজ করে মমতা বলেন, “স্পিকার এগুলো ক্রস চেক করবেন। এগুলো সব ফেক নিউজ। ঠিক তথ্য হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। যদি এগুলো ভুল হয়, উস্কানিমূলক হয়, তাহলে স্পিকার ডিলিট করে দেবಞ🅰েন।”