কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকাই যখন প্রশ্নের মুখে, তখন তৃণমূল কতটা অস্বস্তিতে তা বলাই বাহুল্য। এরই মধ্যে মদন মিত্রের কথায় অস্বস্তি আরও বাড়ল! তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, সাংসদ হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল আরও বেশি সক্রিয় হওয়া। বয়স বেড়েছে বলে✤ই কি তিনি সক্রিয় নন? এই প্রশ্নও তুলেছেন মদন মিত্র।
আরজি কর উত্তর কলকাতা সংসদীয় কে🐷ন্দ্রে অবস্থিত। কিন্তু এই ঘটনার পর সেই কেন্দ্রের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবারও আরজি করে যেতে দেখা যায়নি। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘সুদীপদার কেন𒅌্দ্রে এত বড় ঘটনা! একটু অ্যাকটিভ হলে ভাল হত। এমপি নিজে গিয়ে কথা বললে ডাক্তাররা খুশি হতেন। তবে মিছিলে দেখেছি সুদীপ দাকে। বয়স হয়েছে। এর থেকে বেশি আর কী বা করবেন।’
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আর এক সাংসদ সৌগত রায়কে ধৃতরাষ্ট্র, ভীষ্ম ও দ্রোণাচার্যের সঙ্গে তুলনা করেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, “সুদীপ দা, সৌগত দা আমাদের দ্রোণাচার্য, আমাদের ভীষ্ম। এরা আর অস্ত্র ধরবেন না, জ্ঞান দেবেন।” তবে মদন মিত্র সাংসদ হলে কী করতেন? মদনের জবাব, “সাংসদ হলে সামনে꧃ দাঁড়িয়ে মা🅘র খেতাম। বলতাম, যার যত রাগ আছে, সব আমার ওপরে প্রকাশ কর।”
তবে মদনের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভূমিকা নিচ্ছেন, তা সঠিক। তিনি বলেন, ‘মমতা বারবার শান্তির পক্ষে কথা বলছেন। প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন।’ তাঁর দাবি, এই ইস্যুতে আসলে মমতার সরকারকে আঁচড𝔍় দেওয়ার চ😼েষ্টা করছে বিরোধীরা। তবে তিনি দলের সঙ্গেই আছেন বলে জানিয়েছেন।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মদন মিত্র যা বলেছেন, সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, হ্যাঁ ভীষ্ম শরশয্যায় গিয়েছিল, সুদীপ দাও যাবে। তবে মদন মিত্রের বক্তব্যে প্রতিক꧟্রিয়া দিতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, ৪৮ ঘণ্টার আগে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত নয়, মদন মিত্র কখন, কী বলেন, তার ঠিক নেই।