কলকাতা: রাতভর ধরনা-অবস্থান জুনিয়র চিকিৎসকদের। একটানা ২২ ঘণ্টা বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট দখল করে বসে আন্দোলকারী চিকিৎসকরা। কখনও গানে-গানে। কখনও বা স্লোগান তুলে গোটা রাত কাটিয়েছেন। তবে দাবি থেকে সরেননি। রাতভর কার্যত ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ চলছিল দু’পক্ষের। বড় বড় ব্যারিকেডের একদিকে ঠায় বসে পুলিশ। অপর দিকে, অনড় চিকিৎসকরা। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দুপক্ষই বসে রাস্তায়। তবে মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ফের আন্দোলনকারী ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ। এই নিয়ে তৃতীয়বার বৈঠক। অবশেষে দু’পক্ষের আলোচনায় নমনীয় পুলিশ। ২২ ঘণ্টা পর ২২ জন ডাক্তারকে লালবাজারে যাওয়ার অনুমতি দিল পুলিশ।
আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি সামনের যে ব্যারিকেড আছে তা তুলে দিন। তারপর যাব। আমরা এও বলেছি, এরপর যেন কোনও ব্যারিকেড যেন না থাকে। আমরা মানব বন্ধনী তৈরি করছি। আমরা কথা দিয়েছি এই মিছিল থেকে কোনও বিশৃঙ্খಞল পরিস্থিতি তৈরি হবে না।”
এ দিকে, অ্যাডিশনাল সিপি অনুমতি দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে লৌহ কপাট সরানোর কাজ। পুলিশের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ব্যারিকেড। অপরদিকে জুনিয়র ডাক্তারও শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল এগোনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। আবার উঠতে শুরু করেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। জানা যাচ্ছে ব্যারিকেড খুললেই জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল এগিয়ে যাবে। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট পর্যন্ত এগোবে মিছিল। এরপর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ক্রসিং পর🦄্যন্ত মিছিল এগোনের পর চিকিৎসকদের ২২ জন প্রতিনিধি ঢুকবেন লালবাজারে। 🍌জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “আমাদের দাবি যে কতটা ন্যায্য ছিল আজ ব্যারিকেড খোলা তারই প্রমাণ। ওঁদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে দেখে ভাল লাগছে। কাল থেকে যেভাবে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করল, এত বড় বড় ব্যারিকেড লাগাল, আজ যখন সেটা খুলছে প্রমাণ হচ্ছে আমাদের কালকের দাবি কতটা ন্যায্য ছিল।”