কলকাতা: ‘তিলোত্তমা’-র বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। পুলিশি ‘আক্রমণের’ বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। আর এই বনধের বিরোধিতা করে𝔉 সরব হল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বনধের বিরোধিতা করা হল। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসুরা বনধের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা, ব্রাত্য বসু ছাড়াও আরও দুই মন্ত্রী ছিলেন। ইন্দ্রনীল সেন ও অরূপ বিশ্বাস। এদিন নবান্ন অভিযান নিয়ে আন্দলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “একটা অরাজক ൲ব্যবস্থা তৈরির জন্য অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়েছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুলিশকে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হয়েছে। ইট ๊ছোড়া হয়েছে। পুলিশ ধৈর্য হারায়নি। পুলিশ ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। সেজন্যই আরও একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করতে বনধ ডাকা হল।” বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কীসের জন্য এই বনধের ডাক, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। আজকের আন্দোলনের উদ্দেশ্যও সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছিল।
বনধের প্রভাব পড়বꦚে না বলে মন্তব্য করে চন্দ্রিমা বলেন, “বনধের প্রভাব পড়বে না জনজীবনে। রাস্তায় বাস-গাড়ি অন্যদিনের মতোই থাকবে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সমর্থন করবেন না। রাজনীতি করে 🐟বাংলাকে অশান্ত করা যাবে না।” ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেলকে আবেদন জানান চন্দ্রিমা।
এদিনের নবান্ন অভিযান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “ছাত্রদের নামে বেশিরভাগ গুন্ডা ওই আন্দোলনে ছিলেন। ছাত্র প্রায় ছিল না বললেই চলে। আমরা সবাই আরজি করের ঘটনায় বিচার চাইছি। সেইসবকে তোয়াক্কা না করে ওরা চেয়েছিল আজকের🎉 অভিযানে লাশ পড়ুক।”
বুধবার, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আগামিকাল মেয়ো রোডে সভা রয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের। সেই সভায় 🐓প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইদিনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধ ডেকেছে বিজেপি। আইনশৃঙ্﷽খলা রক্ষায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন (/ )