কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেখানে আইনজীবীর সংখ্যা শতাধিক। গত ১৭ সেপ্টেম্বরে❀র শুনানিতে শীর্ষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন ২৯২ জন আইনজীবী। রাজ্যের পক্ষে আইনজীবীর সংখ্যা ৩১💜। সেই সংখ্যাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে শুধুমাত্র কলতান দাশগুপ্তের পক্ষে মামলা লড়েছেন ৪৪ জন আইনজীবী।
গত সপ্তাহে সিপিএমের এই যুবনেতাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। জেল হেফাজতও হয় তাঁর। অভিযোগ ছিল, ভাইরাল অডিয়োতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র꧋ করতে শোনা গিয়েছে কলতান দাশগুপ্তকে। অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি🧜 করেছিল সিপিএম। পরে হাইকোর্টে মামলা করেন কলতান। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। সেই রায়ের কপিতে আইনজীবী তালিকা চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের তরফে যেখানে ছিলেন পাঁচজন আইনজীবী, আর কলতানের পক্ষে ৪৪।
কলতানের পক্ষে মূলত সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, শামিম আহমেদের মতো হাইকোর্টের আইনজীবীরা। আবার ইমতিয়াজ আহমেদের মতো নিম্ন আদালতের বর্ষীয়ান ♌আইনজীবীদের নাম রয়েছে অর্ডার কপিতে।
এজলাসে শুধুমাত্র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করলেও বাকি আইনজীবীদের নাম কেন? এই প্রশ্নের ⛦উত্তরে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তর যুক্তি, একজন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে পুলিশি অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে আইনজীবীরা একত্রিত হয়ে এভাবেই প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, শীর্ষ আদালতে ওরা ৩১ দিতে পারলে, আমরা পারব না কেন? আবার বাম আইনজীবীরা এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ আদালতে ৩১ জনের জন্য রাজ্য কোটি টাকা খরচ করছে, কিন্তু কলতানের হয়ে কোনও টাকাই নেননি তাঁরা।
বিকাশ ভট্টাচার্য ছাড়া কলতানের আইনজীবীর তালিকায় ছিলেন, শামিম আহমেদ, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, ফিরদৌস শামিম, সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অনিন্দিতা রায় চৌধুরী, মলয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে ছিলেন এজি কিশোর দত্ত, আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিশ্বব্রত বসু মল্লিক, দেবাংশু দিন্দা।