নয়া দিল্লি: বছর বছর আর নির꧂্বাচন নয়। এবার একসঙ্গেই হবে লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচন। এক দেশ, এক নির্বাচনে ( One Nation, One Election) সিলমোহর কেন্দ্রীয় সরকারের। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটির প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। আগামী সংসদ অধীবেশনেই এই প্রস্তাౠবনা পেশ করা হতে পারে।
আজ, বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র প্রস্তাবনা গ্রহণ করে। চলতি বছরের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হতে পারে। এই বিল পাশ হলে, এবার থে♛কে দেশে আর ভিন্ন ভিন্ন সময়🦋ে আলাদাভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে না। একইসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা সহ যাবতীয় নির্বাচন হবে।
দেশে নির্বাচন আয়োজন করতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়, তা হ্রাস করতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠ করতে কেন্দ্রের তরফে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয় গত সেপ💯্টেম্বর মাসে। সম্প্রতিই ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দুই ধাপে “এক দেশ, এক নির্বাচন” কার্যকর করা হবে। সমস্ত নির্বাচনের জন্য সাধারণ ইলেকটোরাল রোল তৈরি করা হবে। কোবিন্দ প্যানেলের পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে একটি কꦏমিটি গঠন করা হবে।
১৮ হাজার ৬২৬ পাতার রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন কর𓆉ার পরাম🌳র্শ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ভাগে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে পঞ্চায়েত ও পুরসভার নির্বাচনও একসঙ্গে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পঞ্চায়েত-পুরসভা নির্বাচন করানোর সুপারিশ দিয়েছিল।
এর জ𒁃ন্য সংবিধানে কমপক্ষে ১৮টি 🦩পরিবর্তন বা সংশোধন আনা প্রয়োজন। রাজ্যের অনুমতিরও প্রয়োজন নেই এক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফাতেই এক দেশ, এক নির্বাচনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচ𓆏নের ইস্তেহারেও এক দেশ, এক নির্বꦿাচনের উল্লেখ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটি সময়ের প্রয়োজন।