গুয়াহাটি: আরজি কর কাণ্ডের রেশ কাটেনি, তার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলছে একের পর এক ধর্ষণের খবর। তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের পর এবার অসম। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রꩲবারই পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আজ, শনিবার ভোরে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য়। সেই সময়ই অভিযুক্ত পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার অসমের নগাঁও জেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের পর রাস্তার ধারে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে দিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গতকালই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।🥃 পলাতক আরও দুই অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, আজ ভোর ৪টে নাগাদ অভিযুক্তকে নগাঁওয়ের ধিং নামক এক জায়গায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই জায়গাতেই কিশোর𒆙ীকে গণধর্ষণ করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতেই পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত সুযোগ বুঝে পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দৌঁড়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু আর পুকুর থেকে উঠতে পারেনি। পুকুরেই ডুবে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।
দুই ঘণ্টা পরে পুলিশ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। এক কন্সটেবলের হাত ছাড়িয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ট🉐া 🔜করে। আহত হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।
অন্যদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে। আমি অসম পুলিশ প্রধানকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি এবং অপরাধীদের যাতে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়🀅, তা নিশ্চিত করতে বলেছি। ”
বর্তমানে নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েಌছে। তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হ♛য়েছে।