নয়া দিল্লি: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আপ নেত্রী অতীশি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর), আম আদমি পার্টির বিধায়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন বিকেলে, দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে বৈঠকের পর কেজরীবাল ইস্তফা দেবেন এবং অতীশি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর), আকস্মিকভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক, অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এদিন, এই বিষয়ে আপ বিধায়কদের এক বৈঠক হয়। সেখানে, দলীয় নেতা দিলীপ পান্ডে প্রস্তাব করেন, পরের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই বিষয়ে কেজরীবালই সিদ্ধান্ত নিন। এরপর, কেজরীবাল অতীশির নাম প্রস্তাব করেন। সমস্ত আপ বিধায়কই উঠে দাঁড়িয়ে এই স🤪িদ্ধান্তে সিলমোহর দেন এবং অতীশিকে আপ পরিষদীয় আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করেন।
এর ফলে, দেশ দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেল। এতদিন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, আপ সরকারের এই মেয়াদের শুরুতেও মন্ত্রী পদে ছিলেন না অতীশি। বলতে গেলে আপ দলে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান ঘটল। দিল্লির আবগারী নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে প্রথম মন্ত্রী করা হয়েছিল। এরপর যখন সিসোদিয়া এবং কেজরীবাল দুজনেই কারা-বন্দি হন, সেই সময় কার্যত দলের হাল ধরেন অতীশি। বর্তমানে তাঁর হাতে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের🧜 দায়িত্ব রয়েছে। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন এবং রোডস স্কলারশিপ প্রাপ্ত। দিল্লির স্কুলশিক্ষাকে আমূল বদলে দেওয়ার দাবি করে আপ। এর কৃতিত্ব অনেকাংশেই অতীশির।
তাঁকে পরবর্তী মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করার পর, অতীশি জানান, অরবি্দ কেজরীবালই তাঁর মেন্টর। তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি মেন্টরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “অরবিন্দ কেজরীবাল আমার উপর আস্থা রেখেছেন এবং আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি দিল্লির সমস্ত মꦰানুষের কাছে আপনাদের ধরের ছেলে, আপনাদের ভাই, অরবিন্দ কেজরীবালকে ফের মুখ্🔯যমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ তিনি অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি।”
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি দিল্লির আবগারী নীতি কেলেঙ্কারির বিষয়ে ইডি ও সিবিআই-এর মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন কেজরীবাল। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর, গত রবিবার দলীয় কর্মীদের এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, “দু’দিন পর, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেক꧂ে পদত্যাগ করব। জনগণ তাদের রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি ওই চেয়ারে বসব না। দিল্লিতে নির্বাচন আর কয়েক মাস বাকি। আমি আইনি আদালত থেকে বিচার পেয়েছি। এখন জনগণের রায়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব।” আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দিল্লির নির্বাচন হওয়ার কথা।