মরণোত্ত🔯র দেহদান করেছিলেন নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের পর মর্গে মৃতদেহ ঘিরে বিভিন্ন দুর্নীতির কথা সামনে আসছে। মৃতদেহ নিয়ে কোনও অ্যাডাল্ট ফিল্ম শুট করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনা কি ভয় জাগাচ্ছে নায়িকার মনে? জানালেন TV9 বাংলাকে।
মরণোত্তর দেহদান করে উদাহরণ তৈরি করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ২০১৪ সালে এই পদক্ষেপ করে💙ছিলেন নায়িকা। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের ছবি রেখে দিয়েছেন নিজের কাছে যত্ন করে। TV9 বাংলার তরফে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আরজি করে মৃতদেহ ঘিরে বিভিন্ন দুর্নীতির পর তিনি কি মনে করছেন, মরণোত্তর দেহদান না করলেই হত?
ঋতুপর্ণা বললেন, ‘আমি মনে করি আরও কিছুটা সময় আছে। আমার মৃত্যুর আগে অরাজকতা কমবে, সেটুকু আশা রাখ♊ি।’ এরপর অভিনেত্রী যোগ করলেন, ‘মরণোত্তর দেহদান করা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে ভোগেন। তবে আমার মধ্যে এমন কোনও বিভ্রান্তি ছিল না। পরিবারের মানুষদের দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। আমার পিসি, পিসেমশাই সকলেই মরণোত্তর দেহদান করেছেন।’ এখন কি মনে হচ্ছে, এমন পদক্ষেপ না করলেই ভালো হত?
ঋতুপর্ণা খোলসা করলেন, ‘সেটা মনে হয় না। আমি একদম অন্তর থেকে এই পদক্ষেপ করেছিলাম। কারণ কারও উপকারে আসতে পারলে ভালো লাগে। মৃত্যুর পরও এই পদক্ষেপের জন্য যদি সমাজের উপকার হয়, আমার ভালো লাগবে।’ এই কথার ফাঁকেই নায়িকা জানালেন, যাবতীয় দুর্নীতি দূর হোক, সেটা তিনি চান। নির্যাতিতার ধর্ষকের শাস্তির জন্যও অপেক্ষা কꦑরছেন তিনি। লক্ষণীয় টলিপাড়ায় আরও অনেকে মরণোত্তর দেহদান নিয়ে ভীত। শুধু বেঁচে থাকার সময়ে নয়, মৃত্যুর পরও মৃতদেহের সুরক্ষা নিয়ে এবার চিন্তা করার সময় এসেছে, এমন মতের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অপরাজিতা আঢ্য। পরিচালক সুব্রত সেন যে এই ব্যাপারটি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন, সে কথা স্পষ্ট করেছেন সমাজ মাধ্যমেই। নায়িকা ঋতুপর্ণা এই মুহূর্তে দেশের বাইরে। তিনি যে শহরে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আজও সামিল, তা স্পষ্ট।