বিদেশেই থাকেন মোনালী ঠাকুর। পরপর অনুষ্ঠানের কারণে ফিরেছেন দেশে। আর দেশে ফিরেই তাঁর সঙ্গে ঘটে গেল এক অনভিপ্রেত ঘটনা। তাঁর উপরে উত্তেজনায় ফেটে পড়ল সাধারণ। কারণ একটাই– দেরি করেছেন মোনালী ঠাকুর। ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরের পানিহাটি উৎসবে। সেখানেই বৃহস্পতিবার গাইতে গিয়েছিলেন মোনালি ঠাকুর। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যে সময় তাঁর আসার কথা ছিল তার থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা দে🍎রিতে অনুষ্ঠানে আসেন মোনালি। এদিকে দর্শকদের মধ্যে তখন টানটান উত্তেজনা। ক্রমশ সেই উত্তেজনা রূপ নেয় প্রবল। তৈরি হয় জনরোষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শকের মন্তব্য, “তারকাদের দেরি হয়। সেটা কিছুটা সময় পর্যন্ত মানাও যায়। কিন্তু তাই বলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। একটা সময় এত বিরক্ত লাগছিল যে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।” ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শাশ্বতি গুহ। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি পোস্টও করেছেন। জানিয়েছেন, কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকাল অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের থেকে দুঘন্টা দেরিতে এলেন মোনালি ঠাকুর, একজন সঞ্চালক হিসেবে এই পুরো সময়টা মঞ্চ সামলানো কতটা কঠিন ছিল সে শুধু আমি জানি, আর জানে ২লক্ষ দর্শক বন্ধু। তাদের ভালোবাসা ও গভীর ভর্ৎসনা কাল আমার ভাগ্যে জুটেছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক তারা দেখতে ও শুনতে এসেছেন মোনালি কে অথচ তিনি তখন আমাদের নাগালের অ꧑নেক বাইরে। অগত্যা তাদের সব রাগ তখন আমার উপর। একপ্রকার বল পূর্বক আমাকে সহ্য তাদের করতেই হয়েছে। তাই নিয়ে আজ ফেসবুকে অনেকে অন♋েক কথাও লিখছেন। ভালো ও মন্দ দুটোই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তবে একটা কথা ঠিক দর্শক বন্ধুরা যত বিরক্ত ই হোক না কেনো, কোনো রꦑকম অপ্রীতিকর ঘটনা তারা ঘটান নি, যে কোনো মুহূর্তে যেটা ঘটার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। তার কৃতিত্ব কার প্রাপ্য সেটা আর নাই বা লিখলাম। তবে এতো বছরের শিল্পী জীবনে এক চূড়ান্ত অভিজ্ঞতা হলো গতকাল। দু’লক্ষ দর্শকের সাথে দু’ঘন্টা । জনরোষ তৈরি হচ্ছে আর আমি তাকে দিদিগিরি দেখিয়ে ভাঙছি। যাক অবশেষে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছি এটাই বড়ো প্রাপ্তি। তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সকলকে।” এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে🍨 বেশ কিছু ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জনতাকে সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ওই যে সব ভাল তাঁর, শেষ ভাল যার। মোনালি গান ধরতেই রাগ কমে যায় সকলের। তিনিও কিন্তু পারফর্মম্যান্সে কোনও খামতি রাখেননি।