নয়া দিল্লি: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানী স🧸ফট ড্রিঙ্কের বাজারে বড় কৌশল আনলেন। ৫০ বছরের পুরনো ক্যাম্পা কোলাকে বাজারে আনা হয়েছে। আর তাতেই নেওয়া হয়েছে নয়া কৌশল।
প্রবীণ ব্যবসায়ী মুকেশ অম্বানীর কাজের ধরন অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা। যেখানেই তারা ব্যবসায় প্রবেশ করে, একটি মূল্য যুদ্ধ শুরু হয়। এমনকী Jio সংস্থার ꩲলঞ্চের সময়ও আমরা দেখেছি যে রিলায়েন্সের জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলিকে তাদের পণ্যের দাম কমাতে হয়েছিল। ক্যাম্পা কোলাও এখন একই দিকে ইঙ্গিত করছে।
আসলে, ৭০-𒁃৮০-র দশকে আমেরিকায় যে কোলা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা এখন ভারতেও ঘটছে। এবার শুধু মাঠই আলাদা নয়, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও আলাদা। মুকেশ অম্বানীর রিলায়েন্স তার নত𓄧ুন কার্বনেটেড সফট ড্রিঙ্ক কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ক্যাম্পার সঙ্গে কোকা-কোলা এবং পেপসিকোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই দামের যুদ্ধে ক্যাম্পা কোলাকে মাঠে নামিয়েছে রিলায়েন্স।
ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎসবের মরসুম শুরুর আগে রিলায়েন্স কনজিউমার প্রোডাক্টস নতুন ক্যাম্পা রে🃏ঞ্জ লঞ্চ করেছে। শুধু তাই নয়, পেপসি এবং কোকা-কোলার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মুকেশ অম্বানী তার কার্বনেটেড কোমল পানীয় ব্র্যান্ডের রেট প্রতিযোগীদের তুলনায় কমিয়ে অর্ধেক করে দিয়েছেন।
এই বাজারে সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে কোকা কোলা🦋র। পেপসি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এই বাজারে ক্যাম্পা কোলার প্রবেশকে কেন্দ্র বাকিরা উদ্বিগ্ন। ৫০ হাজার কোটি টাকার এই কার্বনেটেড কোমল পানীয়ের বাজারে, পেপসি এবং কোকা কোলার 🌼মতো বড় সংস্থাগুলি এখন ক্যাম্পা কোলার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
২০১৬ সালে রিলায়েন্স যখন জিও চালু করেছিল, তখন টেলিকম সেক্টরের বড় খেলোয়াড়দের অবস্থা খারাপ হয়েছিল। এমনকী কিছু ব্যবসা বন্ধ ꦯকরতেও হয়েছে। কিছু কোম্পানিকে একত্রীকরণের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের বাঁচাতে হয়েছে। জিও আসার পর এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া, ইউনিনর, বিএসএনএল-এর টেনশন বেড়ে গিয়েছিল। এই সংস্থাগুলিকে তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম কমাতে হয়েছিল। আকর্ষণীয় অফার আনতে হয়েছে। বিনামূল্যে ডেটা এবং ফ্রি কলিংয়ের মতো Jio-এর অফারের কারণে এই সংস্থাগুলি খারাপভাবে পিছিয়ে ছিল। জিও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে কোনও খামতি রাখেনি।